জগদীশচন্দ্র বসু’র জন্মবার্ষিকী আজ
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০

আজ ৩০ নভেম্বর বিনা তারে বার্তা প্রেরণ সূত্রের উদ্ভাবক বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু’র জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে। তার পিতা ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ভগবান চন্দ্র বসু তখন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
২০০৪ সালের এপ্রিলে বিবিসি’র রেডিওর জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। তাঁর গবেষণার প্রধান দিক ছিল উদ্ভিদ ও তড়িৎ চৌম্বক। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র ক্রেস্কোগ্রাফ, উদ্ভিদের দেহের উত্তেজনার বেগ নিরূপক সমতল তরুলিপি যন্ত্র রিজোনাস্ট রেকর্ডার অন্যতম।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। তাঁর গবেষণা ফলে উদ্ভিদবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে।
ইংরেজ সরকারের অধীনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও ভগবান চন্দ্র নিজের ছেলেকে ইংরেজি স্কুলে ভর্তি করাননি। জগদীশ চন্দ্রের প্রথম স্কুল ছিল ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। বাংলা স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যাপারে তাঁর নিজস্ব যুক্তি ছিল। তিনি মনে করতেন ইংরেজি শেখার আগে এদেশীয় ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষা আয়ত্ত করা উচিত।
বাংলা স্কুলে পড়ার ব্যাপারটি জগদীশ চন্দ্রের জীবনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে তেমনি বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতেও সাহায্য করেছে। এর প্রমাণ বাংলা ভাষায় রচিত জগদীশের বিজ্ঞান প্রবন্ধগুলো।
ভাষার প্রতি বিশেষ মমত্ববোধ ছাড়াও ভগবান চন্দ্র চেয়েছিলেন তার পুত্র দেশের আপামর জনসাধারণের সাথে মিলেমিশে মানুষ হোক এবং তার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হোক। জগদীশ চন্দ্রের পরবর্তী জীবনে তাঁর প্রথম বাংলা স্কুলের অধ্যয় গুরুত্বপূর্ণ ছাপ ফেলেছিল।
জগদীশ কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এই কলেজে ইউজিন ল্যাফন্ট নামক একজন খ্রিষ্টান যাজক প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ওপর তাঁর আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি আইসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ভগবান চন্দ্র এতে রাজী হননি কারণ তিনি চেয়েছিলেন তাঁর পুত্র একজন বিদ্বান হোন।
বাবার ইচ্ছা ও তার আগ্রহে তিনি ১৮৮০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্যেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান, কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশিদিন এই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর ভগ্নীপতি আনন্দমোহন বসুর আনুকুল্যে জগদীশ চন্দ্র প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে ট্রাইপস পাশ করেন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাঠ সম্পন্ন করেন। কেম্ব্রিজে জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি, মাইকেল ফস্টার, জেমস ডেওয়ার, ফ্রান্সিস ডারউইন, ফ্রান্সিস মেটল্যান্ড বালফুর, সিডনি ভাইনসের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানসাধকেরা তাঁর শিক্ষক ছিলেন।
১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জগদীশ চন্দ্র ভারতে ফিরে আসেন। তৎকালীন ভারতের গভর্নর-জেনারেল জর্জ রবিনসন, প্রথম মার্কুইস অব রিপন অনুরোধে স্যার অ্যালফ্রেড ক্রফট বসুকে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। কলেজের অধ্যক্ষ চার্লস হেনরি টনি এই নিয়োগের বিপক্ষে ছিলেন। শুধু যে তাঁকে গবেষণার জন্য কোন রকম সুবিধা দেওয়া হত না তাই নয়, তিনি ইউরোপীয় অধ্যাপকদের অর্ধেক বেতনেরও কম অর্থ লাভ করতেন। এর প্রতিবাদে বস্য বেতন নেওয়া বন্ধ করে দেন এবং তিন বছর অবৈতনিক ভাবেই অধ্যাপনা চালিয়ে যান।
দীর্ঘকাল ধরে এই প্রতিবাদের ফলে তাঁর বেতন ইউরোপীয়দের সমতুল্য করা হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজে গবেষণার কোন রকম উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না থাকায় ২৪-বর্গফুট (২.২ মি২) একটি ছোট ঘরে তাঁকে গবেষণার কাজ চালিয়ে যেতে হত।
পদে পদে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাঁর বিজ্ঞান সাধনার প্রতি আগ্রহ ভগিনী নিবেদিতাকে বিস্মিত করেছিল। কলেজে যোগ দেওয়ার এক দশকের মধ্যে তিনি বেতার গবেষণার একজন দিকপাল হিসেবে উঠে আসেন।
প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনার প্রথম আঠারো মাসে জগদীশ যে সকল গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছিলেন তা লন্ডনের রয়েল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই গবেষণা পত্রগুলোর সূত্র ধরেই লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৯৬ সালের মে মাসে তাকে ডিএসসি ডিগ্রী প্রদান করে। তার এই গবেষণা কর্মগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করেই ইংল্যান্ডের লিভারপুলে বক্তৃতা দেয়ার জন্য ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এই বক্তৃতার সাফল্যের পর তিনি বহু স্থান থেকে বক্তৃতার নিমন্ত্রণ পান। এর মধ্যে ছিল রয়েল ইন্সটিটিউশন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। সফল বক্তৃতা শেষে ১৮৯৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সস্ত্রীক দেশে ফিরে এসেছিলেন।
১৮৮৭ সালে জগদীশচন্দ্র বসুর সাথে অবলার বিয়ে হয়। অবলা ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের বিখ্যাত সংস্কারক দুর্গা মোহন দাসের কন্যা। ১৮৮২ সালে বঙ্গ সরকারের বৃত্তি নিয়ে অবলা মাদ্রাজে যান পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। সেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়ন শুরু করলেও অসুস্থতার কারণে আবার ফিরে আসতে বাধ্য হন। তাদের বিয়ের সময় জগদীশচন্দ্র বসু আর্থিক কষ্টের মধ্যে ছিলেন।
জগদীশের আঠারো মাসের সেই গবেষণার মধ্যে মুখ্য ছিল অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান।
১৮৮৭ সালে বিজ্ঞনী হের্ৎস প্রতক্ষভাবে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। এ নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য তিনি চেষ্টা করছিলেন যদিও শেষ করার আগেই তিনি মারা যান। জগদীশচন্দ্র তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে সর্বপ্রথম প্রায় ৫ মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তরঙ্গ তৈরি করেন। এ ধরণের তরঙ্গকেই বলা হয়ে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মাউক্রোওয়েভ।
আধুনিক রাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত এর মাধ্যমেই বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান প্রদান ঘটে থাকে। বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।
- দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস ইস্যুর তারিখ ঘোষণা
- দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না: সাধন চন্দ্র
- বানারীপাড়ায় ২০০ ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান
- আগৈলঝাড়ায় দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ
- ঘরোয়া উপায়ে মুখের তিল দূর করুন
- এই সময় পেয়ারা খাওয়া যে কারণে জরুরি
- জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার জন্য কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
- গৌরনদীতে ১২৫০জন ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান
- গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: তথ্যমন্ত্রী
- বৃহস্পতি গ্রহে রেডিও সিগন্যাল, প্রাণের সন্ধান নিয়ে জল্পনা
- পণ্যের মান দিয়ে বিশ্ববাজার দখল করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
- রান্নাবান্না
লাউয়ের বরফি - আরো এক লাখ ঘর বানানোর কাজ শিগগিরই শুরু হবে: শেখ হাসিনা
- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’
- টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, হয়তো একটু গা গরম হবে: তাপস
- চট্টগ্রামে খেলবেন সাইফউদ্দিন, অভিষেক হতে পারে একজনের
- মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগৈলঝাড়ায় ভূমিহীনদের মাঝে গৃহ ও জমি বিতরণ
- চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষে ১৩ জনের চাকরির সুযোগ
- বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
- খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উন্নতদেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান
- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ৩ পদে ৮ জনকে নিয়োগ
- দলিত থেকে তৃতীয় লিঙ্গ, কেউ বাদ যায়নি আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে
- ঢাকা শুধু বাসযোগ্য নয়, বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে: তাজুল
- করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২২, শনাক্ত ৪৩৬
- সরকার দেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলছে : পলক
- উজিরপুর প্রশাসনের উদ্যোগে ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমি হস্তান্তর
- ‘এখন আর কেউ ঘর কেড়ে নিতে পারবে না’
- ‘এটাই মুজিববর্ষের সব থেকে বড় উৎসব’
- দু-একদিনের মধ্যে আরো ৫০ লাখ টিকা আসবে: পাপন
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মাউশির গাইডলাইন প্রকাশ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- যে স্বার্থ হাসিলে খুন করা হয়েছে আল্লামা আহমদ শফীকে
- র্যাবের অভিযানে বরিশালে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- মাস্ক পরেও মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- জঙ্গিবাদের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলতে চাই: আইজিপি
- শীতে হাঁসের মাংসে রসনা বিলাস
হাঁসের মাংসের কালিয়া - অনেকদূর এগিয়েছি, যেতে হবে বহুদূর: প্রধানমন্ত্রী
- নতুন বছরে সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
- বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ কখন আসবে তার নিশ্চয়তা ছিল না : প্রধানমন্ত্রী
- অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুর গুজব
- পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করা হয়েছিল
- ফুলে স্বাবলম্বী পিরোজপুরের চাষিরা
- তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় নৌকার টিকিট পেলেন যারা
- সারা দেশে নতুন ভোটার ১৪ লাখ ৬৫ হাজার
- যে দোয়া নতুন বছরে বেশি বেশি পড়বেন
- করোনার ভ্যাকসিন পেতে রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে
- বরিশালে র্যাবের অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- জনগণের অর্পিত দায়িত্বকে আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী
- রোগ-বিপদ মুক্তি ও সন্তান লাভের কার্যকর দোয়া