• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পৃথিবী জরুরি অবস্থার মুখোমুখি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯  

 

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখন জরুরি অবস্থার মুখোমুখি পৃথিবী। এ বিষয়ে একমত পোষণ করে একটি গবেষণা প্রতিবেদনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন বিশ্বের ১৫৩টি দেশের প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞানী।

দীর্ঘ ৪০ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে করা জলবায়ুর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পৃথিবী এখন জরুরি অবস্থার মুখোমুখি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের বিষয়টি আমলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের দেশগুলো।

সংকট মোকাবেলায় আমূল ও স্থায়ী পরিবর্তন ছাড়া বিশ্ব অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তাই প্রতিবেদনটিতে সতর্ক করা হয়েছে। খবর বিবিসি।

গবেষকরা বলেছেন, পুরো বিশ্বের হুমকির মাত্রা সম্পর্কে সতর্ক করার তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

সংকটের প্রকৃত স্বরূপ দেখানোর জন্য গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন, যা ‘গত ৪০ বছরের জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নগুলোর সচিত্র সংকলন’।

গবেষকদের দেওয়া এ তথ্যে উঠে এসেছে, বিশ্বব্যাপী বৃক্ষ আচ্ছাদিত স্থান হ্রাস, মানুষ ও প্রাণীকূলের সংখ্যা বৃদ্ধি, মাথাপিছু মাংস উৎপাদন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার।

এই গবেষক দলের প্রধান সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. থমাস নিউসাম বলেছেন, জরুরি অবস্থার অর্থ হচ্ছে যদি আমরা কার্বন নিঃসরণ, গবাদিপশু উৎপাদন, ভূমির বিনাশ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না কমাই, তাহলে পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে আরও বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা এখনই তেল ও গ্যাসের স্থানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি , কার্বন নিঃসৃত জ্বালানি নির্ভর অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি থেকে সরে আসামিথেন, হাইড্রোফ্লুরোকার্বনের ব্যবহার কমিয়ে আনা,  বন, তৃণভূমি ও ম্যানগ্রোভ বন যেগুলো বিপুল পরিমাণ কার্বন শোষণ করে তার পরিমাণ বাড়ানো, জমির বিনাশ ঠেকানো, মানুষের খাদ্যভ্যাস বদলে ফেলতে হবে বিশেষ করে মাংসে আসক্তি কমানো, খাদ্য অপচয় কমানো এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

ড. নিউসাম থমাস নিউসাম বলেন, আমরা কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়েছি, তাপমাত্রা বাড়িয়েছি। বিগত ৪০ বছর ধরে আমরা এটা জেনেও ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি ও নিচ্ছি না। আগামী দিনগুলোতে আমরা যে ভয়াবহ সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি সেটা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।